December 22, 2025, 11:19 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, টানা দুই দিন সূর্যের দেখা নেই ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি কমের মধ্যেও রপ্তানি ও রাজস্ব বৃদ্ধি লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়/ চিরনিদ্রায় শহীদ ওসমান হাদি কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে প্রশাসন শোকবার্তায় জামায়াত /আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লবের অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার কারিগর ছিলেন হাদি’ মব সন্ত্রাসে জাতি বিভক্ত, দায় সরকারের: মির্জা ফখরুল সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান সরকারের জুলাই–অক্টোবরে বাণিজ্য ঘাটতি ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে অন-ডিউটি চিকিৎসকের মোবাইল গেম খেলা/ দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা, আরও অভিযোগ আজ মহান বিজয় দিবস/বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও বিজয়ের গৌরবগাথা

দুই ধরনের অপশন রেখে রোস্টার করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে ইউজিসি

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
চলামান শিক্ষার স্থবিরতা কাটাতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রোস্টার করে খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এক্ষেত্রে দুই ধরনের অপশনের কথা বলেছে কমিশন। প্রথমটি- যারা আবাসিক শিক্ষার্থী তাদেরকে বিবেচনার আওতায় আনা। দ্বিতীয়টি- জাতীয় পরিচয় ও পরিচয়পত্র ছাড়া আবাসিক, অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। সরকার যেটাকে সুবিধাজনক মনে করে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে। তবে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে তারা।
তবে সবার আগে সব শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার আওতায় আনার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এরমধ্যে সারাদেশের ১২০টি আবাসিক হলের ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর সকল তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মঞ্জুরি কমিশনের সূত্রটি জানায় রোস্টার করে অনুষদ বা বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন দিনে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আসা। এভাবে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। তেমনি সব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রাখা যাবে।
এ মতের সাথে সুর মিলিয়েছেন অনেক বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে বসবাস করে। অনেকের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যাচ ও ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এতে হল কিংবা ক্লাস প্রতিটা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যমতে, সরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। তাদের মধ্যে ১২০টি আবাসিক হলে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ইউজিসি বলছে, আবাসিক হলে কাগজে-কলমে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর কথা বলা হলেও মূলত হলগুলোতে থাকে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনার প্রস্তাব করেছে মঞ্জুরি কমিশন। সম্ভব হলে আবাসিক-অনাবাসিক সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net